বিটকপির গুনাগুন
আনেকে বিটকপি চিনে না।এটা মিষ্টি স্বাদের হয়। এটা সাধারনত সাদা, গোলাপি, হলুদ এবং মেরুন রঙের হয়ে থাকে। বিটকপির পুষ্টিগুন আনেক।এতে শর্কারা,লৌহ,ও প্রচুর প্রটিন আছে।এটি রক্তসল্পতা দূর করে এবং শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা পূরন করে।এটা থেকে বিট চিনিও তৈরি হয়।এটি সালদ ও সবজি হিসেবে ও খাওয়া হয়।এর হালুয়া ও খুব স্বাদের হয়।
ফুলকপি
হাজার সবজির ভিড়ে ফুলকপি একটু শৌখিন হিসেবেই পরিচিত।সাধারণত রান্না করে, সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে বা ভেজে, নানান ধরনের সুপ তৈরি করে বিভিন্নভাবে ফুলকপি খাওয়া যায়। এতে প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ম্যাগনেসিয়ামসহ আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান আছে।এসব উপাদান আমাদের শরীরে বিশেষভাবে প্রতিরক্ষা দেয়াল করে। এছাড়াও কঠিন অনেক রোগকে প্রতিহত করতেও দারুণ উপকারী।বিশেষ করে ফুলকপির সালফোরাফেন ক্যানসারের স্টেম সেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধিও প্রতিহত করে।
বাঁধাকপি
শীতকালীন হাজারো সবজির মধ্যে বাঁধাকপি একটি অতি পরিচিত নাম। সবজি ছাড়াও পাকোড়া করে খেতে বাঁধাকপির কোনো তুলনা নেই। এতে প্রোটিন , শর্করা, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, লৌহ ইত্যাদি পুষ্টিগুন থাকে। নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে বয়স জনিত হাড়ের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যারা শরীরে ভিটামিনের অভাব দূর করতে মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেট খান, তারা নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে আর মাল্টি ভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজন হবে না। বাঁধাকপি আলসার প্রতিরোধ করে থাকে। পাকস্থলির আলসার ও পেপটিক আলসার প্রতিরোধে বাঁধাকপির জুড়ি নেই, এটি প্রাকৃতিক ওষুধও বটে। বাঁধাকপিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যারা ওজন কমাতে চান তারা সালাদ হিসেবে নিয়মিত খেতে পারেন। ওজন কমাতে বাঁধাকপি অতুলনীয়। বাঁধাকপিতে থাকা ফ্রি র্যাডিকেল ফাইটিং প্রোপার্টি ত্বকের যে কোনও সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম। বাঁধাকপি নিয়মিত খেলে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। তাই যারা ত্বক ভালো রাখতে চান, তারা বেশি করে বাঁধাকপি খেতে পারেন।
ওলকপি
অনেকে ওলকপিকে শালগম বলে থাকে। কিন্তু দুটি ভিন্ন সবজি। ওলকপিতে আমিষ, চর্বি , বিভিন্ন খনিজ লবণ , সোডিয়াম, সালফা ইত্যাদি থাকে। এটা আমাদের দেহে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে।
শালগম
শালগমের পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায় যা অত্যন্ত পুষ্টিকর।শালগম থেকে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ই, পটাশিয়াম, ভিটামিন-কে এবং খাদ্য-আঁশ পাওয়া যায়। শালগম দেহের রোগপ্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এর ভিটামিন-সি দেহের কোষের ক্ষয় রোধ করে। শালগমের পাতায় গ্লুকোসিনোলেট নামক উপকারী উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। শালগম রক্ত পরিশোধিত করে এবং রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।এটি দেহে রোগসংক্রমণে বাধা দেয়। এটি ব্রণসহ ত্বকের অন্যান্য সমস্যা নিরাময়ে কার্যকরী
ভূমিকা পালন করে।
গাজর
গাজর একটি পরিচিত সবজি। এটি কাচা ও রান্না করে খাওয়া যায়। এতে প্রচুর ভিটামিন এ,বি,ও সি আছে।গাজর শরীরের শক্তি বাড়ায়। এটি মুখের সৌন্দর্য বাড়ায় এবং রক্ত পরিষ্কার করে। গাজরের হালুয়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এটি আমাদের দাঁত ও হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
মূলা
মূলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি, যা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মুলা
সাধারণত সাদা, লাল ও হালকা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। এতে ভিটামিন পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি থাকে।মুলার ক্যারোটিনয়েডস চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এবং ওরাল, পাকস্থলী, বৃহদন্ত, কিডনী এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।জন্ডিস আক্রান্ত হলে মুলা রক্তের বিলিরুবিনের কমিয়ে তাকে একটি গ্রহনযোগ্য মাত্রায় নিয়ে আসে যা কিনা জন্ডিসের চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত উপকারী। মুলা কিডনি রোগসহ মূত্রনালির অন্যান্য রোগে উপকারী।